প্রতিবেদক: মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ( চট্টগ্রাম )মহানগর।।
কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত পেকুয়ার (তৎকালীন চকরিয়া) বারবাকিয়ায় (বর্তমানে টইটং) মরহুম হযরত মৌলানা হাছন শরীফ (রহঃ) একজন ধর্মভীরু প্রকট মেধাবী সম্পন্ন সমাজ হিতৈষী ব্যক্তির উত্তরসূরী অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্।
তৎকালীন সমাজ বিনির্মাণে তাঁর মরহুম পিতার অবদান দেশ-বিদেশে বেশ সুনাম রয়েছে। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কেবল চট্টগ্রামে শিক্ষা বিপ্লবই নয়, সমাজসেবার ক্ষেত্রেও অসংখ্য সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকা ও বিপুল সাফল্য অর্জন শিক্ষাদিক্ষা ও বিভিন্ন সংগঠনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখার মাধ্যমে যে অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ তা এক নজরে দেখা যাক ।
তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে বি.কম (অনার্স), এম.কম. (হিসাব বিজ্ঞান), এম. কম. (অর্থ বিজ্ঞান), সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে বি.এড. এবং এম.এড. ডিগ্রি লাভ করেন। নট্রামস অনুমোদিত (নিটা) হতে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স এবং যোগ ফাউন্ডেশন হতে গুরুজী শহীদ আল বোখারী কর্তৃক ই.এস.পি. গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্স ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে রিসার্স ইন টিচার্স ট্রেনিং এডুকেশন (আইএপি-ইউকে)-এ গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন ভার্জিনিয়া থেকে “ইউরোপীয় ইউনিয়নের নয়া কৌশল ও মধ্য এশিয়ার উপর এর প্রভাব-একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ” বিষয়ে তিনি পিএইচ ডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্র সাংগঠনিক পরিচয় ও পরিধি অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। সাংগঠনিক দক্ষতা ও মানবিকতার তিনি উজ্জ্বল নক্ষত্র। বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এতিমখানা কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানার প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অসামান্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতির পদে থেকে প্রতিষ্ঠানটির গুণগতমান বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কদম মোবারক মুসলিম এতিমখানার শিক্ষা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রসিদ্ধ ও শিশু স্বাস্থ্যের বাতিঘর খ্যাত চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের ২০০০ সাল থেকে নিজেকে মানবিক স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত রেখেছেন ।
বিভিন্ন মেয়াদে কার্য নির্বাহী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটির সেবামূলক মানোন্নয়ন ও গতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সফলভাবে তাঁর দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা ও মেডিকেল কলেজের ট্রাস্ট্রি বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে
বর্তমানে চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য ও ট্রাস্ট্রি মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের অধীনে বিএসসি নার্সিং কলেজ ও ডিপ্লোমা ইন নার্সিং কোর্সের সরকারি অনুমোদনের জন্য প্রজেক্ট প্রোফাইল তৈরিসহ একাডেমিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
ক্যান্সার হাসপাতাল এন্ড রিচার্স ইনস্টিটিউট বাস্তবায়ন কমিটি এবং করোনা ম্যানেজমেন্ট কমিটির তিনি জয়েন্ট মেম্বার সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও, জাবেদ সরফদ্দীন কার্ডিয়াক ইউনিট বাস্তবায়ন কমিটি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দায়িত্বরত আছেন।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতি এবং চট্টগ্রাম ডায়াবেটিস জেনারেল হাসপাতালের নির্বাহী সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্বরত রয়েছেন। মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা-চট্টগ্রাম মহানগর, সবুজ আন্দোলন-চট্টগ্রাম মহানগর, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি, উপকূলীয় উন্নয়ন ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও তিনি দায়িত্বরত আছেন।

মেরিট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের অধীনে ভাড়া বাসায় প্রথম অনুমোদন নিয়ে ১৯৯৮ সালে প্রি-নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চট্টগ্রামের সাড়া জাগানো সর্বপ্রথম সফল ক্লাসনির্ভর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি চট্টগ্রামে শিক্ষা বিপ্লব সৃষ্টি করেন।
তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োজিত আছেন। বর্তমানে মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত একটি জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। একই সাথে নগরীর প্রাণকেন্দ্র বহদ্দারহাট খাজা রোড নতুন চান্দগাঁও থানার পাশে ক্লাসনির্ভর শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষায় মানসম্পন্ন মেরিট বাংলাদেশ স্কুল এন্ড কলেজ নামের আরো একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি এবং এটিও সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ও অনুমোদিত। এছাড়া, মেরন সান কলেজ ও মেরিট বাংলাদেশ কলেজ নামে দুটো রাজনীতিমুক্ত ও উন্নত হোস্টেল সুবিধাযুক্ত ক্লাসনির্ভর কলেজের প্রতিষ্ঠাতা যা সরকার কর্তৃক অনুমোদিত। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত চট্টগ্রামের একমাত্র বিশেষায়িত বিপিএড কলেজ চিটাগং ফিজিক্যাল এডুকেশন কলেজেরও তিনি প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।
বহদ্দারহাটের মেরিট বাংলাদেশ কলেজ এবং বি এড কলেজ গেইটে অবস্থিত মাওলানা মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী ছাত্রী নিবাস -এরও প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক। এছাড়াও, সার্ক কালচারাল ফোরাম বাংলাদেশ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত ও অধিভুক্ত চিটাগাং ফিজিক্যাল এডুকেশন কলেজ, বিভাগীয় সমাজ কল্যাণ ফেডারেশন, পেকুয়া উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি এবং উপকূলীয় উন্নয়ন ফাউন্ডেশন মহানগর কমিটির সভাপতি , বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার চট্টগ্রাম মহানগরীর সভাপতি ও বিভাগীয় প্রতিনিধি, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সহ সভাপতি ও বিভাগীয় কমিটির সদস্য, মেরিট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, মেরিট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট এবং মুমু এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড-এর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও তিনি ইউনেস্কো ক্লাবস ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।
উপকূলীয় উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, মানবাধিকার ফোরাম চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি এবং চকরিয়া উপজেলা সমিতির সহ-সভাপতি হিসেবে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্।
মেরন সান মৌলানা হাছন শরীফ (রহঃ) স্মৃতি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, কক্সবাজারের জনপ্রিয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকার প্রধান সম্পাদক।
যুগান্তকারী শিক্ষা বিপ্লব ছাড়াও মেরিট বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের অধীনে তিনি পরিচালনা করছেন যুগোপযোগী বনায়ন ও মৎস্য প্রকল্প। দেশের অর্থনীতিতে এসব প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি অসাধারণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। এছাড়াও, পণ্য উৎপাদন শিল্পের ক্ষেত্রেও তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের অধীনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন মেরিট ফুডস এন্ড এস.আর ফুডস ইন্ড্রাস্ট্রি। উল্লেখ্য, বাকলিয়াসহ চট্টগ্রামের অধিকাংশ সংগঠন ও ক্লাব তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট ফোরাম এবং হিসাব বিজ্ঞান সমিতির আজীবন সদস্য হিসেবেও তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ রোগী কল্যাণ সমিতি, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন, সমাজসেবা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম শহর প্রকল্প ১ ও ৩, পেকুয়া নারীকল্যাণ সংস্থা এবং জাতীয় হাসপাতাল-এরও তিনি আজীবন সদস্য। এছাড়াও, বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও ইসলামাবাদ টাউন কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড-এর তিনি সদস্য, মেঘলা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বাকলিয়ার একতা সংঘ এবং চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের উপদেষ্টা সভাপতি, মাসিক কক্সবাজার সৈকত-এর প্রধান সম্পাদক, ডেইলি ট্যুরিস্ট-এর চিফ এডিটর, দৈনিক মুক্তবাণী-এর উপদেষ্টা সম্পাদক, সার্ক মানবাধিকার ফোরাম বাংলাদেশ, পেকুয়া ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদ, কক্সবাজার স্টুডেন্ট ফোরাম, চকরিয়া পেকুয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংস্থা, পেকুয়া ছাত্র যুবক ঐক্য পরিষদ এবং বাকলিয়ার অধীতি ক্লাব-এর উপদেষ্টা, প্রত্বত্ত¡ আলোকচিত্র মিউজিয়াম-এর চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম যৌতুক বিরোধী আন্দোলন-এর উপদেষ্টা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং বৃহত্তর চট্টগ্রাম দক্ষিণ উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্।

পরিবেশ রক্ষায় ও গবেষণায় অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্র অবদান অসামান্য। পরিবেশ বিষয়ক তাঁর অসংখ্য লিখা চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণসহ বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। কক্সবাজারের ‘দৈনিক কক্সবাজার’ সহ অনেকগুলো পত্রিকায় পরিবেশ এবং পরিবেশের উন্নয়নের উপর তাঁর গবেষণামূলক অনেক লিখা প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিবেশ বিষয়ক অনেক সেমিনারে অংশগ্রহণপূর্বক গবেষণাসমৃদ্ধ মতামত ব্যক্ত করে পরিবেশের উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। এছাড়া, বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের ৫০ একর জমির উপরে বনজ, ফলজ ও ওষুধি গাছ রোপণ করে আশেপাশের সকল এলাকার জন্য তিনি অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর এই কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করে অনেকেই কেবল লাভবান হননি, পরিবেশের উন্নয়নেও অবদান রেখেছেন। অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত বৃক্ষরোপণ নীতিমালা অনুসারে সৈকত নগরী কক্সবাজারেও নিজস্ব জায়গায় বনজ ও ফলজ বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে অনেককে অনুপ্রাণিত করেছেন।
বহুমুখী গুণ ও প্রতিভার অধিকারী এই মানব হিতৈষী ব্যক্তি কেবল শিক্ষা ও সমাজ সেবায় ব্যাপৃত থাকেননি। পার্বত্য জেলার লামা-ফাসিয়াখালীতে মেরিট বাংলাদেশ বনায়ন প্রকল্পের সফল ও দৃষ্টান্তমূলক বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি পরিবেশের উন্নয়নসহ অসংখ্য মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিপূর্বক দেশ ও জাতির সেবায় অসামান্য অবদান রেখে যাচ্ছেন। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য তাঁর বনায়ন প্রকল্প মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও গতিশীলতা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য, নিজের ক্রয়কৃত এলাকায় কিংবা সরকারের লিজকৃত জায়গায় তিনি জনকল্যাণমূলক বিভিন্ন প্রকল্প চালিয়ে যাচ্ছেন। সরকারি নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক হতে পারে এ ধরনের কোন পদক্ষেপ কখনো তিনি গ্রহণ করেন নি এবং করেন না। অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ পেকুয়া উপজেলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব এবং চকরিয়া ছাত্র কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং বর্তমানে আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের সদস্য ও উপদেষ্টা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। বস্তুত, শিক্ষা ও সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন ছাত্র-যুব সংগঠনের কল্যাণ ও অগ্রগতির জন্যেও তিনি নিবেদিত প্রাণ। এসব সংগঠন থেকে আর্থিক বিনিময় পাওয়াতো দূরের কথা, এলাকার উন্নয়ন ও শিক্ষা বিস্তারের জন্য গঠিত এসব সংগঠনকে তিনি উদারভাবে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শিক্ষা বিস্তার ও সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। ইউনেস্কো ক্লাবস ফেডারেশন থেকে শিক্ষা ও সমাজ সেবায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি সম্মাননা পদক লাভ করেছেন। সাহিত্য চর্চাতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। Mowlana Moniruzzaman Islambadi Pioneer of Muslim Renaissance, বিজয়ের বাংলাদেশ, ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রামের ইতিহাস, প্রাচীন বাংলা ও বাংলাদেশের ইতিহাস, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, অজানা স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু, বিশ্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং চট্টগ্রামের ইতিহাসে মনীষী তাঁর রচিত কিংবা প্রকাশিত গ্রন্থগুলোর মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। চট্টগ্রাম ও এর বাইরেও নিবেদিত প্রাণ সমাজকর্মী, সমাজসেবক, শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষক হিসেবে পরিচিত। শিক্ষা, গবেষণা ও মানবকল্যাণমূলক কাজে সম্প্রতি তিনি বিভিন্ন দেশভ্রমণও করেছেন। অতি সম্প্রতি জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ভারতের ত্রিপুরায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র উৎসব, বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান এবং প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে পাঁচ দিনের সফরে যোগ দিয়ে এসেছেন তিনি। সাহিত্য চর্চায় সিদ্ধহস্ত এবং শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক অধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্র সম্পাদনায় মেরিট প্রকাশন থেকে বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। জাতীয় ও স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় তিনি নিয়মিত কলাম লেখেন। সম্প্রতি তাঁর প্রকাশিত প্রামাণ্য চিত্রসমৃদ্ধ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গ্রন্থ ‘ইতিহাস কথা কয়’ দেশে-বিদেশে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।
শিক্ষাদীক্ষায় পশ্চাদপদ চকবাজারের বাকলিয়ায় প্রথম সফল ক্লাসনির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরন সান স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা করে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও এর বাইরে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। উল্লেখ্য, মেরন সান এমন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেখানে কেবল শিক্ষার্থীদেরকেই আলোকিত ও দক্ষ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা হয় না, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও ওয়ার্কশপের মাধ্যমে আলোকিত ও দক্ষ শিক্ষক, এমন কি, প্রশাসকও গড়ে তোলার ক্ষেত্রেও উজ্জ্বল স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছেন।
একজন ব্যক্তির মধ্যে একাধারে এতগুলো গুণ ও প্রতিভার সমাহার সত্যিই বিরল। একদিকে সাংগঠনিক দক্ষতা অন্যদিকে মানবিকতায় তিনি অনন্য উদাহরণ, অপরদিকে উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি অসংখ্য মানুষের অনুকরণীয় আদর্শ। তিনি একাধারে একজন দক্ষ শিক্ষক, গুণী শিক্ষাবিদ, উত্তম প্রশিক্ষক, দক্ষ প্রশাসক, অসাধারণ সংগঠক, সফল সমাজসেবক, পরিবেশ গবেষক ও উদ্যোক্তা। যেকোনো জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বপালনের জন্যে এধরনের গুণীজন সর্বদাই প্রথম সারির যোগ্যব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত।
আগামী ৩০ অক্টোবর চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কার্যকরী কমিটি -২১ নির্বাচনে হাসপাতালে (চমাশিহার) প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল সেক্রেটারি ও বারবার নির্বাচিত সভাপতি প্রফেসর ডা. এ এস এম ফজলুল করিম সমর্থিত ডা: এম এ তাহের খাঁন-এসএম মোরশেদ হোসেন-মোঃ রেজাউল করিম আজাদ ও অধ্যক্ষ ড. মোঃ সানাউল্লাহ পরিষদের তিনি ট্রেজারার পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।
উল্লেখিত পরিষদের ব্যানারে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তারা হলেন ,প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী প্রফেসর ডা: এম এ তাহের খান, ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সৈয়দ মোঃ মোরশেদ হোসেন ( ডোনার),
ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ইঞ্জি: লায়ন মোঃ: জাবেদ আবছার চৌধুরী, আব্দুল মান্নান রানা,জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি ডা: কামরুন নাহার দস্তগীর, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি (ডোনার) পদপ্রার্থী, সৈয়দ মো: আজিজ নাজিম উদ্দিন, ট্রেজারার পদপ্রার্থী অধ্যক্ষ লায়ন ড. মো সানাউল্লাহ, জয়েন্ট ট্রেজারার পদপ্রার্থী, লায়ন এসএম কুতুব উদ্দিন, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি পদপ্রার্থী মোঃ সাগির, স্পোর্টস এন্ড কালচারাল সেক্রেটারি পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ আহসান উল্লাহ।
কার্যকরী কমিটি মেম্বার পদপ্রার্থী হিসাবে আলহাজ্ব মো: হারুন ইউসুফ, এম জাকির হোসেন তালুকদার, খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, ডা: নাসির উদ্দিন মাহমুদ, ডা: আবু তৈয়ব , ডা: কামরুন নেসা রুনা, এ এস এম জাফর, মোহাম্মদ আলমগীর পারভেজ, ডা: ফজল করিম বাবুল, ডক্টর ইঞ্জিনিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী (ডোনার), মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ (ডোনার) প্রমুখ।
এ ধরনের সমাস হিতৈষী ব্যক্তিরা মানবসেবায় দায়িত্ব পেলে দেশ ও জাতির উন্নয়ন ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলে বিশ্বাস রাখেন সমাজের বিশিষ্টজনরা।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ১২১