রবিবার, ৯ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

জয়নাল হাজারী আর নেই

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী আর নেই।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফেনীর সদর আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারী।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর তিনি বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সোহরাবুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। জয়নাল হাজারী ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।২০০১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় জয়নাল হাজারীর বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানের পর তিনি পালিয়ে ভারত চলে যান। ২০০৪ সালে হাজারীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে ফের ক্ষমতায় এলে তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে একে একে সব মামলা থেকে অব্যাহতি পান হাজারী।২০১৯ সালে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদে পদ পান জয়নাল হাজারী। ব্যক্তিজীবনে চিরকুমার জয়নাল হাজারী দৈনিক হাজারিকা প্রতিদিন নামে ফেনী থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ‘জয়নাল হাজারী বলছি’ নামে আত্মজীবনীও লিখে যান তিনি। ১৯৪৫ সালের ২৪ আগস্ট ফেনী শহরের সহদেবপুর নিবাসী হাবিবুল্লাহ পণ্ডিতের বাড়িতে আব্দুল গণি হাজারী ও রিজিয়া বেগমের সংসারে জন্ম জয়নাল আবেদীন হাজারীর। হাবিবুল্লাহ পণ্ডিত ছিলেন তার নানা।

জয়নাল হাজারী ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি শুরু করেন। ছাত্রাবস্থায় ফেনী সরকারি কলেজে তৎকালীন ছাত্র মজলিশের (বর্তমান ছাত্র সংসদ) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ছিলেন। এরপর বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হন। পরে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য পদেও দায়িত্ব পালন করেন জয়নাল হাজারী।

জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

শেয়ার করুন