আমি বিয়ে করেছি মাত্র সপ্তাহ পার হলো। বাড়ীতে থাকা প্রায় ২ লক্ষাধিক নতুন ফার্নিচার আসবাবপত্র সহ নগদ ৩০ হাজার টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মুহুর্তেই আগুণ লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় কিছুই রক্ষা করতে পারিনি কোনরকম নিজেরাই বেঁচে আছি। আগুনের নিজের সর্বস্ব হারিয়ে এসব আর্তনাদের কথা বলছেন ক্ষতিগ্রস্ত মাষ্টার গিয়াস উদ্দিন।
চট্টগ্রামের বাঁশখালীর পুঁইছড়ি ইউনিয়নে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পুঁইছড়ি আশরাফ আলী সিকদার পাড়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় ৩৪ বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
আগুনের লেলিহান শিখা দেখার পর স্ট্রোক করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. আবুল কাশেম। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আগুনে তাঁর ব্যক্তিগত বন্দুকের লাইসেন্সটিও পুড়েছে বলে জানা গেছে। আগুনে নগদ টাকা, আসবাবপত্রসহ কোটি টাকার ওপরে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো। বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩৪ পরিবারকে নগদ আড়াই হাজার টাকা করে ৮৫ হাজার টাকা এবং খাদ্যসামগ্রী ও কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।
প্যানেল চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, একটি বাড়িতে থাকা বৈদ্যুতিক হোল্ডারে মোবাইল চার্জ দিলে ওই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। হঠাৎ বিদ্যুৎ আসলে স্পার্ক করে হোল্ডারে আগুন লেগে যায়। আগুন মুহূর্তের মধ্যে ৩৪ পরিবারে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের দল আসার আগেই প্রত্যেকের পরিবারের সবকিছু পুড়ে যায়। ইউএনও মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আপাতত সরকারিভাবে সাহায্য করা হয়েছে। পরে আরও সাহায্য করার জন্য ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ১৩৭