মুহাম্মদ মহিউদ্দিন :
সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমছে। রাত থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় জানা যায় প্রতি লিটারে ডিজেল-অকটেন, পেট্রোল, কেরোসিন ও অকটেনের দাম ৫ টাকা কমানো হচ্ছে।
এর আগে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিভিন্ন দেশে নিয়মিত তেলের মূল্য সমন্বয় করে নির্ধারণ করেছে সরকার।
সেসময় ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
৫ আগস্ট (শুক্রবার) রাতের ওই ঘোষণায় প্রতি লিটার ডিজেলে ৩৪, কেরোসিনে ৩৪, অকটেনে ৪৬, পেট্রলে ৪৪ টাকা দাম বাড়ানো হয়। দাম বৃদ্ধির আগ পর্যন্ত ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য ছিল প্রতি লিটার ডিজেল ৮০ টাকা, কেরোসিন ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা ও পেট্রল ৮৬ টাকা।
এর আগে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা করে সরকার। তবে অকটেন ও পেট্রোলের দাম অপরিবর্তিত ছিল।
সর্বশেষ ২৮ আগস্ট (রবিবার) ডিজেলের আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়। পাশাপাশি ডিজেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।
গতকাল রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ডিজেলের ওপর আরোপিত সব আগাম কর থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশের বদলে ৫ শতাংশ পরিমাণ নির্ধারণ করা হলো। এই সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
উল্লেখ্য, দেশে জ্বালানি তেলের মধ্যে ৭৪ শতাংশই ব্যবহার হয় ডিজেল। এখন ডিজেলের দাম কমায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে মানুষ। বিশেষ করে পরিবহন ও সেচে কিছুটা স্বস্তি আসবে।
বিপিসি সূত্র জানাচ্ছে, দেশে বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৭৪ শতাংশই ব্যবহৃত হয় ডিজেল। মোট জ্বালানি তেলের ব্যবহার প্রতিবছর কিছুটা বৃদ্ধি পায়।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ৬