বৃহস্পতিবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাতৃসদন ক্লিনিকের কর্মচারীই ‍চোর চক্রের সদস্য : শিশু উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন চট্টগ্রাম মহানগর :
২৮ আগস্ট রবিবার বিকেল ৩ টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরটিলা মমতা মাতৃসদন ক্লিনিক-২ থেকে একদিন বয়সী এক নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটে।
উপ পুলিশ কমিশনারের (বন্দর ) সার্বিক দিক নির্দেশনায় সহকারি পুলিশ কমিশনার (বন্দর জোন) ও ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার্স ফোর্সদের নগরীর বিভিন্ন স্থানে ৩০ ঘন্টা ব্যাপী শ্বাষরুদ্ধকর অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে অবশেষে চুরি হওয়া ঐ শিশুকে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোরে আনোয়ারা থেকে উদ্ধার করার পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামী-স্ত্রীসহ চোর চক্রের ২ সক্রিয় সদস্যকে আনোয়ারা থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে সিইপিজেড থানা পুলিশ।

নবজাতক চুরি হওয়ার পর ক্লিনিকের মোঃ মোরশেদ আলম (৪২), মোহাম্মদ সেলিম (৩৯) ও মোঃ আবুল কাশেম (৩০) তিন কর্মচারীকে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইপিজেড থানা হেফাজতে নেওয়া হয় ,পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যমতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আনোয়ারা থানার গহীন এলাকা থেকে নবজাতক শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতারা হলেন আনোয়ারা থানা পূর্ব বারখাইন ইউনিয়নের তৈলার দ্বীপ মল্লিক বাড়ির দিপাল মল্লিকের পুত্র রিমন মল্লিক ( ২৬) ও তার স্ত্রী শিমু দাস (২০)।
শিমু দাসের পাঁচ মাসের গর্বের বাচ্চা নষ্ট হলেই বাচ্চার জন্য মরিয়া হয়ে বিভিন্ন জায়গা ছুটাছুটি করতে থাকেন। অবশেষে মাতৃসদন ক্লিনিকের-২ আটককৃত আসামিদের যোগ সাজশে এই ঘটনা ঘটান বলে সিইপিজেড থানা পুলিশের জিজ্ঞাসা বাদে তাঁরা এসব তথ্য জানান।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম। তিনি বলেন, ইপিজেড এলাকার মাতৃসদন ক্লিনিক থেকে চুরি করে নিয়ে যাওয়া একদিন বয়সী ছেলে নবজাতকটি আনোয়ারা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক দম্পতিসহ চোর চক্রের ৫ জন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
চুরি হওয়া নবজাতকের বাদী এজাহারের ভিত্তিতে চোর সন্দেহে জড়িত মমতা ক্লিনিকের-২ তিন কর্মচারী ও এক দম্পতিসহ অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিন জনকে আসামি করে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ আইনের ১০(২),৮(২),২০১২ ধারা মতে ২৯ আগস্ট ২২ ইং মামলা অজু করা হয়।
শেয়ার করুন