জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের অস্বাভাবিক দাম এবং ভোলায় ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলম ও সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম হত্যার প্রতিবাদে কেন্দ্রঘোষিত বিএনপি’র বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের একপর্যায়ে পুলিশ-বিএনপি মুখোমুখি দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনায় এএসপি, ওসি, ওসি তদন্তসহ ১৪ জন পুলিশ সহ বিএনপির ২০ জন নেতা কর্মী আহত হয়।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বাঁশখালীর পশ্চিম গুনাগরীর প্রধান সড়কে সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও বাঁশখালীর সাবেক সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর ছেলে মিসকাতুল ইসলাম চৌধুরী বাপ্পা তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁদের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের ভুল বোঝাবুঝির কারণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
অপরদিকে বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বিএনপির মিছিল থেকে নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা ও ইট-পাটকেল নিয়ে অর্তকিত পুলিশের ওপর হামলা করেছে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে রবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এএসপি (আনোয়ারা সার্কেল) মো. হুমায়ুন কবির, ওসি মো. কামাল উদ্দিন, ওসি তদন্ত এস এম আরিফুর ইসলাম, এস আই নজরুল ইসলামসহ আরও ১৪ কনস্টেবল।
জানা গেছে, বিএনপি বাঁশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের ডাক দেয়। ওই সমাবেশ পুকুরিয়া ইউনিয়নে করার কথা ছিল। কিন্তু বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিএনপির সমাবেশের খবর জেনে শুক্রবার সকাল থেকে পুরো বাঁশখালীর প্রধান সড়কে ইউনিয়নভিত্তিক নেতা-কর্মীরা যার যার অবস্থানে সভা সমাবেশের ডাক দিয়ে রাস্তা দখল করে রাখে।
বিএনপি নেতারা এই খবর জানতে পেরে সমাবেশ আয়োজন করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী পশ্চিম গুনাগরীর বাড়িতে। বিকাল ৪টায় ওই সমাবেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তাদের বাড়ি হয়ে প্রধান সড়কে ওঠার একপর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে।
ওই সময় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের অধিকাংশ নেতা-কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা ছিল। এই সংঘর্ষ বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। অর্ধশতাধিক পুলিশ রবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর মোবাইলে বেশ কয়েকবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।
তবে দক্ষিণ জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী বলেন, মিছিল নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাবার পথে পুলিশ বাধা দিলে ইট-পাটকেল ছুঁড়েছে। অহেতুক পুলিশের ওপর হামলা করেনি। আমি অনেক চেষ্টা করেও সমাবেশের দিকে যেতে পারেনি।