বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

না.গঞ্জে পুলিশ বিএনপির সংঘর্ষে নিহত-১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নারায়ণগঞ্জে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে  শাওন মাহমুদ ওরফে আকাশ (২০) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি  নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়ন যুবদলের কর্মী ছিলেন দাবি করছেন বিএনপি।

তবে জানা গেছে, তিনি ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত আলীর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে।

শওকত আলী বলেন, শাওন আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। সে রাজনীতিতে সক্রিয় না। ভেতরে কোনো সমর্থন ছিল না কি না সেটা জানা নেই।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, পূর্বানুমতি ছাড়া বিএনপি নেতা-কর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। পুলিশ তাদের সরাতে চাইলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে আমাদের ১০-১২ জনের মতো সদস্য আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব মামুন মাহমুদ জানান, পুলিশ অতর্কিতভাবে তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিপেটা করেছে। এরপর শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেছে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। যুবদলের গুলিবিদ্ধ কর্মী শাওন মাহমুদকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তিনি মারা গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল ১০টার দিকে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ও মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শোভাযাত্রা করতে নগরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকার আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের শোভাযাত্রা করতে বাধা দেয়। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। অন্যদিকে, পুলিশ লাঠিপেটা করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় শহরের দুই নম্বর রেলগেট ও আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
শেয়ার করুন