প্রকাশ্য জনসভায় যদি বিএনপি নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠানোর মতো বক্তব্য দিতে পারেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিতে পারেন। তবে আমি বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে অগ্নি সন্ত্রাসকারী বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে মিছিলে অংশ নিলে তাতে ক্ষতি কি?
বিএনপি জামাতের নাশকতাকারীদের প্রতিরোধ করতে ভবিষ্যতেও জীবনবাজি রেখে মাঠে থাকতে পারলেই আমার রাজনীতির স্বার্থকতা।
এদিকে এমপি মোস্তাফিজুরের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেইজে মিছিলের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে এমপি মোস্তাফিজুর রহমানকে রিভলবার হাতে মিছিলের সামনে হাঁটতে দেখা যায়। একপর্যায়ে তাকে রিভলবারটি নাড়াচাড়া করতে দেখা যায়। এই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে
পিস্তল হাতে মিছিলের নেতৃত্বে এমপি মোস্তাফিজ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পরেই উপরে উল্লেখিত লেখাগুলি Mustafizur Rahman Chowdhury ভেরিফাইড ফেইসবুক ২৩ মে ২.৪০ মি পোস্ট করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে বাঁশখালীতে উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী এমপি।
ভিডিওতে দেখা যায় মিছিলের অগ্রভাগে ডান হাতে পিস্তল নিয়ে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তিনি ।বিকেল সাড়ে ৪টা বাজে মিছিল শেষে উপজেলা গেটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। মিছিলের অগ্রভাগে ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করার প্রসঙ্গে জানতে এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি ।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেটিজেনরা বেশ আলোচনা ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সেই মিছিলে অন্যদের মধ্যে বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, পৌর মেয়র তোফায়েল বিন হোসাইন, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, কালীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহদাত আলম, বৈলছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।