নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আগামী সংসদীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। হামলা পাল্টা হামলা বিভিন্ন জায়গায় রণক্ষেত্র পরিণত হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীতে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। পদযাত্রা শেষে ফেরার পথে বিএনপির একদল নেতাকর্মী নগরীর ওয়াসা মোড়ে নৌকার প্রার্থী মহিউদ্দিন বাচ্চুর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে। এ সময় প্রচারণার গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে তারা। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের পাশাপাশি নগরীর কোতোয়ালী থানার নূর আহমদ সড়কে বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবন ভাঙচুর করে রণক্ষেত্র পরিণত হয়।
চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বাচ্চুর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার খুলশী থানায় মামলা দুইটি দায়ের করা হয়।
আওয়ামী লীগ কর্মীর আরিফুল ইসলাম নামে একজনের দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। খুলশী থানা পুলিশের এসআই মো. শাহেদ খানের দায়ের করা মামলায় ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হামলার সময় আটক ২৫ জনকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা এবং সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট ও সরকারি কাজে বাধা দানের ঘটনায় দুইটি মামলা দায়ের হয়েছে। একটি মামলায় কারও নাম উল্লেখ না করে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যটিতে ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৫ জন গ্রেপ্তার রয়েছে।’
এদিকে বিএনপি কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করতে গেলে নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত আইনজীবীরা।এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট হাসান আলী চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বাদীকে নিয়ে আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল কোতোয়ালী থানায় যাই। বাদীকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রায় ৪৫ মিনিট বসিয়ে রাখার পর কর্তব্যরত কর্মকর্তা মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানান। এখন আমরা বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবো।
তবে কোতোয়ালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুবেল হাওলাদার বলেন, ‘মামলা নেওয়া হবে না, তা বলা হয়নি। তারা এসেছিলেন। আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকায় থানার ওসিসহ সব সিনিয়র কর্মকর্তারা সেখানে ব্যস্ত। তাই তাদেরকে রাতে আসতে বলেছি। মামলা নেওয়ার মতো ঘটনা হলে অবশ্যই মামলা নেওয়া হবে।’