রবিবার, ১৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালীর পশ্চিম বড়ঘোনায় ডিভোর্সি স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

 

মুহাম্মদ মহিউদ্দিন বাঁশখালীঃ

বাঁশখালী উপজেলা গন্ডামারা ইউনিয়নের পশ্চিম বড়ঘোনা মোস্তাফিজুর রহমান ঘর থেকে শনিবার ২২ জুলাই এক ডিভোর্সি স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর নাম শামিমুল জান্নাত (২১) সে স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ঘোনা মনসুর আলীর বাড়ির মোস্তাফিজুর রহমানের কন্যা।
জানাযায় গত বছরের ২২শে আগস্ট একই ইউনিয়নের গন্ডামারা দুই নম্বর ওয়ার্ডের আবুল হোসেনের পুত্র মো: ইকবালের (২৫) সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তারা ।সংসার জীবনের এক বছরের মাথায় স্বামী-স্ত্রীর
মনোমালিন্য অজুহাত দেখিয়ে শামিমুল জান্নাত কে ২৮ শে জুন ২৩ ইংরেজি তালাক প্রদান করেন তার স্বামী মোঃ ইকবাল ।

নিহতের মা আমেনা বেগম জানান শুক্রবার ২১ জুলাই রাত ১১ টার সময় মোহাম্মদ ইকবাল (মেয়ের জামাতা)  আমাদের ঘরে আসেন।কি জন্য এসেছেন জানতে চাইলে ইকবাল তাকে বলেন আমি তালাক দিয়ে ভুল করেছি,তালাক প্রত্যাহার করে নেব, প্রয়োজনে হুজুর ডেকে পুনরায় বিবাহ বন্ধন আবদ্ধ হব।এমন কথার ভিত্তিতে আলেদা ঘরে তাকে আমরা রাত্রি যাপন করতে দিলেও পরক্ষনে সেই মেয়েকে তার রুমে ডেকে নিয়ে যায়। সকালে নামাজ পড়তে উঠে দেখি সে দৌড়ে পালিয়ে চলে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় মেয়ের রুমে গিয়ে দেখি সে মৃত্যু অবস্থায় পড়ে আছে। তিনি প্রশাসনের কাছে মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার আবুল হোসেন সিকদার আবু বলেন, গত এক মাস আগে শামিমুল জান্নাত কে মারধর করে শ্বশুরবাড়ি থেকে   বের করে দেওয়া হয় এবং এর পরেই পাঠিয়েছেন তালাকনামা। নিহত গৃহবধূ  ও ইকবালের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বিচার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে শামীমুল জান্নাতের পরিবারের পক্ষ থেকে রাতেই আমাকে মোবাইল ফোনে জানানো হয়, নিহত গৃহবধূর স্বামী ইকবাল তাদের ঘরে এসেছেন।ওই সংবাদ তাৎক্ষণিক ভাবে ছেলের ওয়ার্ডের মেম্বার কে জানানো হয়। রাত পেরুলেই পরদিন এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিবেন এমন আশ্বস্ত করেছিলাম তাদেরকে।

আরও পড়ুন  বাঁশখালীতে মহানবী (সা:) কে নিয়ে কটুক্তি ফেসবুকে ভাইরাল , যুবক গ্রেফতার

বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল উদ্দিন (পিপিএম) জানান, ঘটনার খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ারা (সার্কেল) মো. কামরুল হাসান স্যার সহ আমরা একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক নিহতের লাশ উদ্ধার করে বেলা ১২ টায় ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা না স্বাভাবিক মৃত্যু তার সঠিক কারণ এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তে মৃত্যুর আসল কারণ বেরিয়ে আসবে। তবে হত্যা করা হলে মার্ডার মামলা হিসেবে গণ্য করা হবে।ওই ডিভোর্সি গৃহবধূর মায়ের বরাতে বলেন,শামীমুর জান্নাত ও ইকবালের বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও তাদের মধ্যে একে অপরের সাথে ফোনে যোগাযোগ ছিল,সেই সুবাদে ইকবাল তাদের ঘরে আসতে পারেন।।

 

শেয়ার করুন