ভেজাল উপাদান, বিষাক্ত কেমিক্যাল মানবদেহের জন্য সর্বনাশী রং মিশিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীরা দেদারসে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এ জেনো কোন রেস্টুরেন্টের নয় প্রত্নতাত্ত্বিক কোন রান্না ঘর। চট্টগ্রামের কাজীর দেউড়ী ‘হোটেল জামান রেস্টুরেন্ট এন্ড বিরিয়ানি হাউজে’ ফ্রিজের ভেতর স্তরে স্তরে সাজানো কয়েক মাস আগের মাংসের স্তুপ। আর এইসব পঁচা মাংসকে পেচিয়ে রেখেছে ফাঙ্গাস। এমন নোংরা ও অপরিষ্কার পরিবেশ দেখে চক্ষু চড়কগাছ ভোক্তা অধিকারে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ।
এ সময় হোটেল জামান রেষ্টুরেন্টেকে সতর্কতামূলক ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে বাসি খাবার বিক্রি এবং অননুমোদিত রঙ এবং কেমিক্যাল ব্যবহার করায় মুরগি ভাজায় কিচেন রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা ও হোটেল লায়লাতে অননুমোদিত কেমিক্যাল ব্যবহার করে খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত করায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয়ের উদ্দেশ্য সংরক্ষণ করা ইকরা মেডিসিন সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
উপ-পরিচালক ফয়েজ উল্যাহ জানান, খাবার স্বাদ বাড়তে ক্যামিকেল যুক্ত করে খাবার তৈরি, মাংসে ফাঙ্গাস,খাবারে রঙের ব্যবহার ও একটি ফার্মেসিসহ কাজীর দেউড়ীতে ৪ প্রতিষ্ঠানে অভিযানে চালিয়ে মোট ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা সতর্ক মূলক অর্থদণ্ড করা হয়।এবং সর্তকা মূলক মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এ তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন বলে জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পরিচালক মো: আনিছুর রহমান, সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।
উল্লেখ্য চট্টগ্রামের বেশির ভাগ বড় বড় হোটেল-রেস্তোরাঁয়ও অস্বাস্থ্যকর, নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত পরিবেশে খাবার তৈরির প্রমাণ মিলছে। সরকারি কয়েকটি সংস্থাও এমন তথ্যপ্রমাণ পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ ধরনের কারবারে লাভ বেশি হওয়ায় শহর থেকে তা ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামগঞ্জেও।