শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

বাঁশখালীতে যুবককে বেধড়ক ও মারধরের অভিযোগ

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে পাওনা টাকা দাবী করায় বাজার থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় ধরে নিয়ে ফরিদুল ইসলাম নামে এক যুবককে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারী) রাতে উপজেলার নাপোড়া বাজারস্থ অঞ্জন দেব এর চায়ের দোকান থেকে ভিকটিম ফরিদুল আলমকে ধরে নিয়ে পুঁইছড়ি ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড ভিলেজার পাড়া এলাকার মৃত মনির আহমদ প্রঃ মইন্নার পুত্র ইসমাইল হোসেন নেতৃত্বে একই এলাকার আব্দুর রশিদের পুত্র গোলাম আজিম, সুভাষ চন্দ্রের পুত্র সুভাষ, মো. হারুনের পুত্র মো. শাকিল, মৃত আহমদ হোসেনের পুত্র নুরুল আবছার, ভেউদ্যার পুত্র সালামত উল্লাহসহ আরও ১০-১২জন সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় রক্তাক্ত আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে ফরিদুলকে উদ্ধার করে বাঁশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার করানো হয়। এঘটনায় বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভিকটিম ফরিদ। ভিকটিম ফরিদুল শেখেরখীল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত বদরুজ্জামানের ছেলে।

অভিযোগকারী ভিকটিম ফরিদ বলেন, অভিযুক্ত ইসমাইলের কাছ থেকে হাওলাতি বাবত ৫ হাজার টাকা ফেরত চাওয়াতে ক্ষিপ্ত হইয়া অঞ্জন দেবের চায়ের দোকানে উপরোক্ত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়, এপর্যায়ে তারা টেনে হেঁচড়ে দোকান থেকে বের করে একটি সিএনজিতে করে নাপোড়ার পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে উক্ত সন্ত্রাসীরা আমাকে ছুরিকাঘাত ও লোহার রড দিয়ে  মাথা, কান ও মুখে রক্তাক্ত আঘাত করে  আমার কাছে থাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার  করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনো পর্যন্ত আসামীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী দোকান মালিক অঞ্জন দেব, রেজাউল করিম, মোস্তাক আহমদ, নির্মল দেব, আবুল হোসেন এবং নাপোড়া বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতিসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক এঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বলেন, সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা বাজার থেকে ফরিদুল আলমকে প্রকাশ্যে হামলা এবং বাজার থেকে টেনে হেঁচড়ে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে তাকে বেধড়ক মারধর করে রক্তাক্ত করার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা না হলে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।

অপরদিকে অভিযুক্ত ইসমাইলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তার ভাইপো শাহাব উদ্দিন বলেন, আমার চাচা ইসমাইলের কাছ থেকে ফরিদুল টাকা পাবে একথা ঘটনার পরে শুনেছি, তবে ঘটনার দিন নাকি পাওনা দিতে না পারায় ফরিদ আমার চাচার মোবাইল কেড়ে নেয়াতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকার কয়েকজন লোককে ফোন করে নেয়ার পর ওই লোকেরা এই ঘটনা করেছে বলে শুনেছি। তবে যারা ঘটনার মুলহোতা তাদেরকে আসামী না করে তার এক ভাইকেও আসামী করা হয়েছে বলে উল্টো অভিযোগ করছে শাহাবুদ্দিন।

বাঁশখালী থানা পুলিশ মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই রুবেল চন্দ্র সিংহ বলেন, এই ঘটনায় ভিকটিম ফরিদুল আলম বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানান পুলিশ রুবেল।

শেয়ার করুন