শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

চট্টগ্রামে আ.লীগ-ছাত্রলীগের আরও ৩৯ নেতাকর্মী গ্রেফতার

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

ডেভিল হান্ট অপারেশনে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের আরও ৩৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) উপ-পরিদর্শক (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. ইমরান হোসেন।
তিনি জানান, শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার ওপর হামলাসহ গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন, কোতোয়ালী থানার আসামি চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগ নেত্রী ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির মহিলা ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক কানিজ ফাতেমা লিমা (৪০), মো. শাহাদাৎ হোসেন অনি (২৪), শুভ মল্লিক (২৯), ওসমান গনি রনি (২৮), মো. সুরুজ (২০)।

বাকলিয়া থানা আওয়ামী ওলামালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নুর মোহাম্মদ (৫৫), মো. খোরশেদ আলম (৪৫), মো. মিজবাহ হোসেন জিফাত (২৫), হাবিবুর রহমান জুয়েল (২৭), সদরঘাট থানার হকার্স লীগের সভাপতি মো. মাসুম (২৯), ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর স¤পাদক আশরাফ উদ্দিন আশিক (৩৫)।

বায়েজিদ বোস্তামী থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. আব্দুল বাতেন (৪৩), মো. হারুন অর রশিদ ধ্রুব প্রকাশ জনি (৩০), মো: মুন্না (২১), মো. ইকবাল (২১), চকবাজার থানার সাজু বিশ্বাস (২৪), সাইফুল ইসলাম (১৯), পাঁচলাইশ থানার মো. ফয়েজ সিকদার (২২), সৈয়দ মো. আশরাফুল হক সিফাত (২২), সৈয়দ মো. আসাদুল হক আসাদ (১৯)।
চান্দগাঁও থানার মো. মুরাদ মিয়া (৩৮), রতন মিয়া ওরফে আরজু (৪২), হালিশহর থানার মো. রাজ্জাক আশরাফি ওরফে প্রকাশ রাজ (৩২), ডবলমুরিং থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সংগঠক মো. গোলাম শরিফ তুষার (৩৪), মো. তোফাজ্জল হোসেন (৩৯), মো. ইমরান (৩২), মো. শফিউল আলম (৪৯), ইফরাত নুর, মো. খোকন (৩৯), প্রিয়া মনি (১৯), আইনের সাথে জড়িত ১৭ বছর বয়সী এক শিশু, বন্দর থানার মো. নয়ন (৩০)।

খুলশী থানা যুবলীগের সহ সভাপতি মো. সুমন (৩৪), মো. আব্দুল মান্নান (৫৫), আকবরশাহ থানার নাজীম উদ্দিন (৩৪), ইপিজেড থানার শওকত ইসলাম (২৬), বায়েজিদ বোস্তামী থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি বিপ্লব কুমার দাস ওরফে প্রকাশ মাটি (৩৭), পতেঙ্গা মডেল থানার মো. ওমর আলী (২৮) এবং কর্ণফুলী থানার আসামি ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ-স¤পাদক মো. রাকিব।

এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ২৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানায় সিএমপি। গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, নগরীর কোতোয়ালি থানার আসামি মো. হাসান (২১), মো. মেহেরাজ (২৫), জিয়াউল হকন ওরফে সোহেল (৪০), সদরঘাট থানার আসামি সদরঘাট হকার্স লীগের সভাপতি মো. মাসুম (২৯), ২৯নং পশ্চিম মাদারবাড়ী ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের দফতর সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন অশিক (৩৫)।

চান্দগাঁও থানার আসামি রূপক কান্তি নাথ (৪৫), ইসরাত আশরাফি অপি (২৪), বায়েজিদ বোস্তামী থানার আসামি ইকবাল হোসেন শাহেদ (২৫), মো. লিমন (২৪), চকবাজার থানার আসামি মাহাবু আলম ওরফে মাহাবুব (৩৫), নবী হোসাইন (৪০), পাঁচলাইশ থানার আসামি পাঁচলাইশ ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সাংগঠনিক স¤পাদক মো. নুর উদ্দিন (৩৪), মো. রিপন তালুকদার (৩০), আকবরশাহ থানার আসামি ফজলুল হক (২৬)।

কর্ণফুলী থানার আসামি চরপাথরঘাটা আওয়ামী লীগের ৫নং ওয়ার্ডের সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন (৫২), পাহাড়তলি থানার আসামি সাইফুল ইসলাম (৪২), বন্দর থানার আসামি বন্দর থানা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক স¤পাদক সাইদুর রহমান ওরফে নাকিব (২৫), ইপিজেড থানার আসামি শাকিল ইসলাম (১৯), ওয়াশিম আকরাম (২৪), পতেঙ্গা থানার আসামি শফিউল আলম (৪২), বাকলিয়া থানার আসামি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরাসরি জড়িত আমান (২২), আবুল কাশেম (৫০) এবং মো. বাপ্পী (২৩)।
১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফতারদের প্রায় সবাই আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী বলে জানায় সিএমপি।

এর আগে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের ৪০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের তথ্য জানায় সিএমপি। যেখানে রবিউল হাসান (১৭) ও পারভেজ (১৭) নামে দু‘জন কিশোরও ছিল। জুলাই আন্দোলনের সংঘাতে জড়িত থাকার কারণে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় সিএমপি।

এছাড়া অভিযানে কোতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয়েছেন মো. শাহফাজ মিয়া (৩৪), মো. আবুল কালাম (৫৮), কাজী সালাউদ্দিন লাভলু প্রকাশ সালাউদ্দিন (২৯), ইসতেশাম আলম দোভাষ ইশরাক (২১), মো. হাবিব উল্লাহ (২৮), মো. রফিকুল ইসলাম (৫৫), মো. শাহাদাত হোসেন জুয়েল (৩২)।

পাঁচলাইশ থানায় তৌহিদুজ্জামান জয় (৩২), মো. ফারুক (৩৫)। চকবাজার থানা এলাকা থেকে মো. রবিউল হোসেন (২৬), বায়েজিদ বোস্তামী থানায় হারুনুর রশিদ (৪৫), মো. টিটু মাঝি (৪০), তোফাইল আজম তাশকার প্রকাশ আবিদ (২৪), মো. রফিক (৩৫), আকবরশাহের আসামি ফয়সাল(২১), মো. শাকিল(২২), মো. রুবেল (২০), মো. ইব্রাহিম (২০), সদরঘাট থানায় মো. হাবিবুর রহমান মুন্না (৩৮), হালিশহর থানায় মো. হৃদয় (২২), মো. রাব্বি (২৮), বিজ্ঞান কুমার নাথ (৫৬), মফিজ (৩২)।

খুলশী থানার আসামি মো. জাবেদ উদ্দিন (২১), মো. রেজাউল করিম (৩১), ইপিজেড থানায় আরমান মিয়া (২৭), লালন ফকির (২৮), ডবলমুরিং মডেল থানার মো. ইউসুফ শান্ত (২৫), মো. সাদেক (৩৪), পতেঙ্গা মডেল থানার আসামি মো. মুন্না (২০), বন্দর থানার আসামি মো. নুর উদ্দিন (৪০)।
পাহাড়তলী থানার আসামি আব্দুল মালেক বাবুল (৬৪), গোলজার বেগম রুবি (৫৫), চান্দগাঁও থানার আসামি মো. নাছির উদ্দিন (৪০), বাকলিয়া থানার আসামি মো. ইমরান হোসেন ইমন (২৮), সালাউদ্দিন রায়হান (২৫), মো. জুয়েল রানা (৩৪) ও কর্ণফুলী থানায় সরোয়ার আলম বাপ্পি (৩৭)।

এর আগে, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ৪৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র জনতার উপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে, সন্ত্রাসী বিরোধী আইনে ও পেনাল কোড আইনে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে সিএমপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন