মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের আধ্যাত্মিক মনীষী হুজুর গাউছুল ওয়ারা ইমামে আহলে সুন্নাত শায়খুল ইসলাম শাহ্সূফী আল্লামা সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী (ক.) এর ১০ম বার্ষিক ওরশ শরিফে দেশের দূর দূরান্ত থেকে আসা অগণিত ভক্ত জনতার অংশগ্রহণে মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফে মুখরিত হয়ে উঠেছে । আজ ১৪ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ওরশ শরীফের প্রধান দিবসে ভক্ত জনতা স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশ নেন। ওরশ মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে আওলাদে রাসূল (দ.) মাইজভাণ্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন পার্লামেন্ট অব ওয়ার্ল্ড সূফীজের প্রেসিডেন্ট শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.) বলেন, মাইজভাণ্ডার শরীফ আধ্যাত্মিক প্রাণকেন্দ্র। জাতিধর্ম নির্বিশেষে সকলের মিলনকেন্দ্র এ দরবার। অসীম আধ্যাত্মিক শক্তির মাধ্যমে সর্বস্তরের ফরিয়াদি মানুষের কল্যাণে আজীবন নিবেদিত ছিলেন শাহ্সূফী আল্লামা সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (ক.)। বিনয়, সারল্য, উদারতা ও মহানুভবতার বিরল গুণ বৈশিষ্ট্য ছিল তাঁর মাঝে। পরিপূর্ণ মানবিক গুণাবলীর অধিকারী মহান বিরলপ্রজ ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। তাঁর প্রদর্শিত পথে সুদৃঢ় থেকে আমাদেরকে নাজাতের পথ সুগম করতে হবে। সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী বলেন, করোনাকালে মানুষ আজ ভীতি ও শংকা নিয়ে দিন পার করছে। আল্লাহর মেহেরবানিতে এই আপদ নিশ্চয়ই একদিন তিরোহিত হবে। এই দুঃসময়ে একজন অন্যজনের পাশে দাঁড়াবেন। মানবিক দায়িত্ব পালন করে মহত্ত্বের পরিচয় দেবেন। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে ভ্যাকসিন দেয়ার এবং পরিচ্ছন্ন জীবন যাপনের তাগিদ দেন তিনি। ওরশ মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ মাশুক-এ-মইনুদ্দীন, শাহ্জাদা সাইয়্যিদ হাসনাইন-এ-মইনুদ্দীন আল্-হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল্-মাইজভাণ্ডারী (মা.জি.আ.)। আন্জুমানে রহমানিয়া মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সহ সভাপতি আলহাজ্ব কবীর চৌধুরী, আন্জুমানের সাধারণ সম্পাদক খলিফা শাহ্ মুহাম্মদ আলমগীর খান মাইজভাণ্ডারী। অতিথি ও আলোচক ছিলেন সাইয়্যিদ মইনুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী মহসীন চৌধুরী, আন্জুমান মহানগর সভাপতি খলিফা বোরহান উদ্দিন মাইজভাণ্ডারী, আন্জুমানের দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক খলিফা কাজী মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, খলিফা সাহাবুদ্দিন বাচ্চু, খলিফা আব্দুল মান্নান, মইনীয়া যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক খলিফা মুহাম্মদ আসলাম হোসাইন, মাওলানা মুফতি খাজা বাকী বিল্লাহ আল আজহারী, শাহ্ মোহাম্মদ ইব্রাহিম মিয়া, মাওলানা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, মাওলানা বাকের আনসারী, মাওলানা নঈম উদ্দিন, মাওলানা এইচএম মাকসুদুর রহমান প্রমুখ। মিলাদ কিয়াম শেষে মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ, বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানবতার পরিত্রাণ এবং দেশবাসীর ওপর আল্লাহর রহমত কামনায় মুনাজাত পরিচালনা করেন শাহ্সূফী মাওলানা সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী (মা.জি.আ.)।
সংবাদটির পাঠক সংখ্যা : ৮২