বুধবার (২ মার্চ) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো জাতীয় দৈনিক সময়ের আলোর তৃতীয় বর্ষপূর্তি ও চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক লেখক ও প্রথম আলোর পত্রিকার চট্টগ্রাম অফিসের সাবেক বার্তা সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক মুহাম্মদ সামশুল হক সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সূজন এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) বোর্ড সদস্য, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগর তথ্য বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আলী শাহ ,বিশিষ্ট সমাজ সেবক এম এ সবুর, চট্টগ্রাম মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব, চট্টগ্রাম মহানগর অটো-টেম্পু শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খোকন ও বিশিষ্ট সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক নাজিম উদ্দিন চৌধুরী এনেল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সময়ের আলো চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল । তিনি বলেন সময়ের আলো দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে গণমানুষের কথা বলে। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সময়ের আলো পাঠকের মনে অল্প সময়ে জায়গা করে নিয়েছে।সময়ের আলো ৩ বছর বর্ষপূতি উদযাপন করছে। বয়সটা নিতান্তই শিশুর। কিন্তু সময়ের আলোর টিম অনেক পরিপক্ক। সময়ের আলো দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে মরণ কামড় দিতে জানে, ভালোকে ভালও বলতে জানে। সময়ের আলো যারা পড়েন তারা সেটা বুঝেন। যারা পড়েন না, তাদের প্রতি অনুরোধ সময়ের আলো পড়ুন, বুঝুন সাথে থাকুন। মজা ও মনোজগত দুটোই খুঁজে পাবেন এটা আমি নিশ্চিত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সময়ের আলোর তুতীয় বর্ষপূতির শুভেচ্ছা জানিয়ে চসিকের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, সময়ের আলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। পত্রিকাটির লেখা দেখলে বুঝা যায়, তার উদ্দেশ্য-আদর্শ। গণমুখী সাংবাদিকতা আর নৈতিক আদর্শের কারণে পত্রিকাটি অল্প সময়ে পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে। পত্রিকাটির তৃতীয় বার্ষিকী থেকে তৃতীয় শত বার্ষিকী উদযাপনে এগিয়ে যাবে এটাই কামনা করি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চসিকের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দেশে পত্রিকা অগণিত। কিন্তু মানসম্মত ও নীতি আদর্শের পত্রিকা খুবই কম। মনতুষ্টির সাংবাদিকতা গ্রাস করছে সমাজকে ও রাষ্ট্রকে। মনোজগতের সাংবাদিকতার দিকে সময়ের আলো এগিয়ে যাবে এটাই প্রত্যাশা। সেই সাথে চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন। সময়ের আলোও চট্টগ্রামের কথা বেশি বলবে সেটাই প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে চউকের বোর্ড সদস্য মুহাম্মদ আলী শাহ বলেন, সাংবাদিকতা এখন ডিজিটালইজড হয়েছে। মুঠোফোনে চোখ রাখলে কত সংবাদ দেখি। কিন্তু সব সংবাদ কি সত্য। আমরা দেখেছি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের মৃত্যুর খবরও। ফলে খবর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে মানুষ। কিন্তু আগে এমন প্রবণতা ছিল না। পত্রিকার পাতায় ভুলক্রমে ন্যুনতম ভুল সংবাদ ছাপা হলে জবাবদিহী করতে হতো। ড্রইংরুম থেকে পত্রিকা যতই হারিয়ে যাচ্ছে সংবাদের গুরুত্বও ততই কমছে।
সভাপতির বক্তব্যে বিশিষ্ট লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মুহাম্মদ সামশুল হক বলেন, দেশের অধিকাংশ সংবাদপত্র তার নীতি আদর্শে অটল নেই। শুধু সংবাদপত্র প্রকাশ করলে তো হয় না। তার সাথে সংশ্লিষ্ট সংবাদকর্মীদের জীবন-জীবিকার দিকেও নজর দেওয়া উচিত। তাহলেই মানসম্মত সাংবাদিকতা সম্ভব।
এসময় পত্রিকাটির বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধি সহ গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।












