বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

বাঁশখালীতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে করছে ডাকাতি -১২ জলদস্যু আটক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গোপসাগরে ১৬ টি ফিশিং বোটে ডাকাতির ঘটনায় র‍্যাব-৭ এর ৪৮ ঘন্টা  শ্বাষরুদ্ধকর অভিযানে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে  ১২ জলদস্যুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাঁছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র, ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা মূল্যের তিন হাজার ইলিশ মাছ, মাছ ধরার জাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত নৌকাও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কঃ এম এ ইউসুপ।

আটকরা হলেন—গন্ডামারা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মেম্বার আনসারের পুত্র মো. আনোয়ার, কবির আহমদের পুত্র লিয়াকত (মাঝি),মোঃ: আব্দুল কাদের পুত্র মো. মনির,জয়নাল আবেদীনের পুত্র আবুল খায়ের(ইঞ্জিন ড্রাইভার), আব্বাসের পুত্র মো. নবীর হোসেন, মোক্তার আহমেদের পুত্র নেজাম উদ্দিন,  আব্দুল কাদেরের পুত্র হুমায়ুন, আবুল হাসানের পুত্র সাহেদ, আবু তাহেরের পুত্র সাদ্দাম,মোঃ ইব্রাহিমের পুত্র আতিক, মোঃ: জহিরের পুত্র এমরান ও মৃত ইসলাম মিয়ার পুত্র আমানউল্লাহ।

র‌্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এম এ ইউসুফ বলেন, সম্প্রতিক জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলেরা সাগরে মাছ আরোহনের ব্যর্থ এবং খরচ সামলাতে না পেরে  ডাকাত দলের সদস্যরা এসব জঘন্য কাজ করে যাচ্ছেন বলে ডাকাতির ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত আটক ১২জন জলদস্যুদের স্বীকারোক্তিতে এসব তথ্য জানান।

গত ২৭ আগস্ট চট্টগ্রামের অন্তর্ভুক্ত সাগর এলাকায় ৯টি মাছ ধরার বোটে ডাকাতি ঘটলে র‌্যাব-৭ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণভাবে গ্রহন করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সময় র‌্যাবের কাছে খবর আসে জলদস্যুরা সাগরের বিভিন্ন বোটে ডাকাতি করছে।খবর পেয়ে র‌্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফের নেতৃত্বে ২টি চৌকষ আভিযানিক দল ও র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার একটি আভিযানিক দলের সমন্বয়ে গভীর সমুদ্রে গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত সর্বমোট দীর্ঘ ৪৮ ঘন্টার রুদ্ধাশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে দস্যুতার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ১২ জন জলদস্যুকে আটক করে।

পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তাদের বাঁশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন