শুক্রবার, ৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Add Your Heading Text Here

হামলা ভাঙচুর, বিস্ফোরক মামলায় ৬৩ আইনজীবীর জামিন

Add Your Heading Text Here

Add Your Heading Text Here

বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের পর তার অনুসারীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সহিংসতার ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন ৬৩ জন আইনজীবী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) শুনানি শেষে এ আদেশ দেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম সরকার হাসান শাহরিয়ার। আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন ওই আইনজীবীরা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘দায়ের করা মামলায় যেসব আইনজীবীদের আসামি করা হয়েছে তারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না। যিনি মামলা করেছেন, তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে ছিলেন না। আদালত আামাদের শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে চার্জশিট বা পুলিশ রিপোর্ট না হওয়া পর্যন্ত আইনজীবীদের জামিন দিয়েছেন।’

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ আয়াত উল্লাহ খান বলেন, ‘আদালতে ৬৩ আইনজীবী আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেছেন। এ ধরনের বিস্ফোরক আইনের মামলায় জজ কোর্ট থেকে জামিন পায়নি অতীতে।’

সোমবার সকাল থেকে আদালতপাড়ায় ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল বিজিবি সদস্যও।

জামিনের আদেশের পর আইনজীবীদের একাংশ নিহত সাইফুল ইসলাম আলিফের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন আদালত প্রাঙ্গণে।

এই মামলায় আসামিদের মধ্যে মোট ৬৬ জন আইনজীবী ছিলেন। তিন জন বিদেশে থাকায় ৬৩ জন আইনজীবী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

এর আগে, গত বছরের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সনাতনী সম্মিলিত জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

ওই আদেশের পর আদালত প্রাঙ্গণে প্রিজনভ্যান ঘিরে বিক্ষোভ করে সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন। আড়াই ঘণ্টা পর পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যায়। সেদিন চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

ওই ঘটনার চার দিন পর নিহত আলিফের ভাই খানে আলম চট্টগ্রামের কোতয়ালি থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। ভাঙচুর, বিস্ফোরণ ও জনসাধারণের ওপর হামলার অভিযোগে করা ওই মামলায় ১১৬ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় আইনজীবীদের আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালত এলাকায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধাদানের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে।

শেয়ার করুন